বাগেরহাটে এম এ এইচ সেলিমের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও লিফলেট বিতরণ
শিক্ষা ক্যাডার সম্পর্কে জানুন, সরকারি মাধ্যমিকে আসুন
- আপডেট সময় ০২:০৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৭১ বার পড়া হয়েছে
চাকরি প্রত্যাশী বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডার হতে আগ্রহী অনেকের মধ্যেই একটি সাধারণ ভুল ধারণা ব্যাপকভাবে ছড়ানো—সরকারি হাইস্কুলের শিক্ষকরা নাকি যোগ্যতার দিক থেকে পিছিয়ে, তাই তাদের ক্যাডার হওয়া হাস্যকর। সমাজে বহুল প্রচলিত এই মানসিকতা বাস্তবে শিক্ষা কাডারের ইতিহাস ও রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
রাষ্ট্র নিজস্ব প্রয়োজনেই বিভিন্ন ক্যাডার সৃষ্টি করেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালনা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর। এজন্য সহকারী হেডমাস্টার, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয় পরিদর্শক, হেডমাস্টার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপ-পরিচালকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডার পদ গঠন করা হয়।
তবে বিসিএস (মাধ্যমিক শিক্ষা) নামে আলাদা ক্যাডার না করে এটিকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (স্কুল অ্যান্ড ইন্সপেকশন ব্রাঞ্চ) হিসেবে নামকরণ করা হয়। এই অংশে ক্যাডার নিয়োগের নিয়ম অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় ভিন্ন—বিসিএস থেকে সরাসরি নয়, বরং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কমপক্ষে পাঁচ বছর সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতা ও বিএড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক।
এ কারণে সহকারী শিক্ষকরা যদিও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা, তাদেরই পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট ক্যাডার পদে উন্নীত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে কলেজ অংশের কিছু কর্মকর্তা বিষয়টিকে দুর্বলতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে “স্কুল ব্রাঞ্চ”কে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বাস্তবে এই পদের ভিত্তি রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন; তাই মধ্যম স্তরের শিক্ষা কাঠামোতে এগুলো বজায় থাকতেই হবে।
মাধ্যমিক সেক্টরে ১৪শ’ এর বেশি সহকারী প্রধান শিক্ষক, ৭শ’র বেশি প্রধান শিক্ষক, শতাধিক সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রতিটি জেলায় একজন করে জেলা শিক্ষা অফিসার ও অসংখ্য বিদ্যালয় পরিদর্শক থাকার কথা। এগুলো সবই ক্যাডার পদ, যা বর্তমানে শূন্য পড়ে আছে। সরাসরি বিসিএস থেকে নিয়োগের পথ খুলে দিতে হলে সহকারী শিক্ষক পদকে নবম গ্রেডে নিয়ে ক্যাডারভুক্ত করাই একমাত্র সমাধান, যা বর্তমান আন্দোলনকারীদের মূল দাবি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাধ্যমিক শিক্ষা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষা সেক্টর। তাই যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থীদের এ খাতে আকৃষ্ট করতে জনমনে প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করা জরুরি। তারা জানান—“মাধ্যমিক সেক্টর বিশাল, চ্যালেঞ্জিং, এবং ক্যাডার সার্ভিসের জন্য যথাযোগ্য। তাই জানুন, বুঝুন, মাধ্যমিকে আসুন—সেকেন্ডারি ইজ ওয়েটিং ফর দ্যা ব্রিলিয়্যান্টস।”
আনিস রহমান
সহকারী শিক্ষক
শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি।























