অনলাইনে ক্যাসিনো অভিযোগ তুলে টাকার দাবির পর স্থানীয়দের হাতে আটক
দুর্গাপুরে সাদা পোশাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ কনস্টেবল গণধোলাইয়ের পর ক্লোজড
- আপডেট সময় ০৬:২৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার দুই পুলিশ কনস্টেবল সাদা পোশাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে জনতার হাতে আটক ও গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। পরে থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। ঘটনাটির পর অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইন্সে (ক্লোজড) সংযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন—দুর্গাপুর থানার জরুরি সেবা ‘ট্রিপল নাইনের’ ড্রাইভার ইমরান আলী এবং থানার কম্পিউটার অপারেটর মাজেদ হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা শ্যামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, শ্যামপুর গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে সজীব আহমেদ (২৫) অনলাইন ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত—এমন অভিযোগ তুলে দুই কনস্টেবল সজীবের কাছে মোটা অংকের অর্থ দাবি করেন। টাকা না দিলে সজীবকে আটক করে থানায় নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাদের পরিচয় জানতে চান। এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডার সূত্র ধরে স্থানীয়রা দুই কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে এবং থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
আরেক সূত্র জানিয়েছে, দুই কনস্টেবল নিজেদের পরিচয় দিয়ে সজীবকে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ দাবি করেন। কিন্তু তাদের কাছে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) না থাকায় তাৎক্ষণিক তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
পুলিশের বক্তব্য
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন—“ওই দুই কনস্টেবলকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। উর্ধ্বতনদের নির্দেশে তাদের পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে।”
জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান—“তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের শৃঙ্খলাভঙ্গ বা অনৈতিক আচরণ বরদাশত করা হবে না।”
স্থানীয়দের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এলাকায় কিছু অসাধু পুলিশ সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
অভিযুক্ত কনস্টেবলের দাবি
অভিযুক্ত কনস্টেবল ইমরান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—“মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। আমি সজীবকে চিনি না। সে-ই আমাকে ডেকে নিয়েছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করিনি।”
তিনি আরও দাবি করেন—“ঘটনাস্থল থেকেই কেউ ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে। এরপরই আমাদের পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়।”




















