১৮ বছরের নির্বাসন শেষে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে জামালপুরজুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্দীপনা
তারেক রহমানের আগমনে জামালপুর থেকে ঢাকায় লক্ষাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর ঢল
- প্রকাশের সময় ১০:৫৪:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৬৬ Time View
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০টি বাস, ২০০টি মাইক্রোবাস ও অসংখ্য প্রাইভেটকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন লক্ষাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জামালপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সজীব খান।
তিনি জানান, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের ৭টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভা থেকে আলাদাভাবে পরিবহন ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভা থেকে ২০টি করে বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। মোট ৩০০টি বাস বুধবার রাত ১২টায় জামালপুর শহরের মালগুদাম রোড থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করবে।
ট্রেনেও ঢাকায় যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
সড়কপথের পাশাপাশি রেলপথেও ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জামালপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আকতার হোসেন সেখ জানান, মঞ্জুরুল আহসান সুমন নামের এক ব্যক্তি ‘জামালপুর স্পেশাল’ নামে একটি ট্রেন ভাড়া নিয়েছেন এবং ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেছেন।
ট্রেনটি ২৫ ডিসেম্বর ভোর ৫টায় জামালপুর থেকে ছেড়ে ময়মনসিংহ, গফরগাঁও, জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে। একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় ট্রেনটি ঢাকা থেকে জামালপুরের উদ্দেশে ফিরে আসবে। এ ছাড়া ৪টি আন্তঃনগর ও ১টি কমিউটার ট্রেনেও নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাবেন।
সমন্বয় টিম ও শৃঙ্খলার আহ্বান
নেতাকর্মীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে আলাদা আলাদা সমন্বয় টিম গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জামালপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহানুসজ্জামান রুমেল বলেন,
“তারেক রহমান শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক। তার আগমন উপলক্ষে জামালপুরসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।”
নেতাদের বক্তব্য
জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিউর রহমান সফি বলেন,
“তারেক রহমানের দেশে ফেরা দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমাদের নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর-৫ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুনের নেতৃত্বে সদর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় রওনা হয়েছেন।”
সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মিলন বলেন,
“এটি শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি।”
সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোকছেদুর রহমান হারুন বলেন,
“তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা হবে।”
সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ
শরিফপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মেহেদী হাসান কনক বলেন,
“দলীয় প্রস্তুতির চেয়েও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত প্রস্তুতি অনেক বেশি। এমন স্বতঃস্ফূর্ততা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরল।”
তিনি জানান, যুবদলের নেতাকর্মীরা ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়ই ঢাকার সভাস্থলে পৌঁছে গেছেন। একই সঙ্গে ঢাকাগামী নেতাকর্মীদের শুকনো খাবার ও পানি সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি খাদ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের প্রতি দাম সহনীয় রাখার আহ্বান জানান।























