পরিত্যক্ত ভবনের মালামাল চুরির দায়ে একজনের ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, তিন শ্রমিক খালাস
জরাজীর্ণ বিএডিসি ভবন থেকে সরকারি মালামাল চুরি, ট্রাকসহ মালামাল জব্দ
- প্রকাশের সময় ১২:৪২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৬৬ Time View
বরগুনার আমতলীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অর্ধশত বছরের পুরোনো পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ ভবন থেকে সরকারি মালামাল চুরির ঘটনায় একজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চুরি করা মালামালসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান চুরি মামলায় অভিযুক্ত জুয়েল মৃধাকে এই দণ্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে অবস্থিত বিএডিসির দুটি দ্বিতল পাকা ভবন ১৯৭৫ সালে নির্মিত। এসব ভবনে বিএডিসির মেশিনারি যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংরক্ষণ করা হতো। প্রায় ১৫ বছর আগে ভবন দুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো তা অপসারণ করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ভবন দুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে জুয়েল মৃধার নেতৃত্বে মোঃ বশির হোসেন, সজিব হাওলাদার ও বেল্লাল ভবনের বিভিন্ন মালামাল ভেঙে একটি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের আটকের নির্দেশ দেন।
পরে কোর্ট পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করে এবং চুরি করা মালামালসহ ট্রাকটি জব্দ করে আদালতের জিম্মায় রাখে।
এ ঘটনায় বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (সেচ) মোঃ ইয়াকুব আলী আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তদের মধ্যে জুয়েল মৃধাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। অপর তিনজন শ্রমিক হওয়ায় আদালত তাদের খালাস দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল মৃধাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন,
“বিএডিসির ভবন ও মালামাল সরকারি সম্পত্তি। ভবন পরিত্যক্ত হলেও এসব মালামাল নেওয়ার কোনো আইনগত অধিকার কারও নেই।”
আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবু বকর জানান, বিএডিসি কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এই দণ্ড প্রদান করেছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোঃ জাহেদ জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন,
“খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। যেহেতু ভবনটি আদালতের সামনে অবস্থিত, তাই উদ্ধারকৃত মালামাল আদালতের বিচারকের জিম্মায় রাখা হয়েছে।”

























