১৭ বছরের প্রতীক্ষা শেষে গণমানুষের স্বপ্ন ও রাজনীতির নতুন প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৫ ডিসেম্বর: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা
- প্রকাশের সময় ০২:০২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১১৫ Time View
দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের আগমনী বার্তা যেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। চারদিকে ঘন অন্ধকার ভেদ করে শোষিত-বঞ্চিত ও আশাহত মানুষের স্বপ্নের সারথি হয়ে তিনি আসছেন—তার প্রাণের দেশ, জন্মভূমি বাংলাদেশে।
তার আগমন ঘিরে সেদিন অনেক কিছুই বদলে যাবে। বদলে যাবে রাজনীতির ধরন, বদলে যাবে যুক্তি ও আবেগের সমীকরণ। মানুষের চিন্তা-চেতনায় আসবে নতুন প্রেক্ষাপট, নতুন ব্যাখ্যা ও নতুন স্বপ্ন। জাতীয় দৈনিকগুলোর শিরোনামজুড়ে থাকবে তার নাম, সম্পাদকীয় লেখা হবে পুরোপাতা জুড়ে। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হবেন তিনি।
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াবে তার ছবি ও বক্তব্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলবে লাইভ সম্প্রচার। ব্যস্ত শহরগুলো হয়ে উঠবে প্রাণের উৎসবের নগরী। লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠবে তার যাত্রাপথ।
হাজার হাজার কবিতা লেখা হবে তার নামে, গল্প ও উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠবেন তিনি। তাকে উপজীব্য করে রচিত হবে নতুন নতুন প্রবন্ধ-নিবন্ধ। সংগ্রামী জীবন নিয়ে নির্মিত হবে ধ্রুপদী চলচ্চিত্র। সেমিনার ও আলোচনা সভায় তার রাজনৈতিক কৌশল ও নেতৃত্ব নিয়ে হবে বিস্তর আলোচনা।
দূর-দূরান্ত থেকে উঠে আসবে যুক্তি—কিভাবে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও তিনি মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন, কিভাবে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, কিভাবে শক্তি জুগিয়েছেন। শেকল ভাঙার মন্ত্র শিখিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও কিভাবে তিনি গেয়েছেন জীবনের জয়গান—সেই গল্প ছড়িয়ে পড়বে সর্বত্র।
তার নামের সঙ্গে যুক্ত হবে নতুন নতুন বিশেষণ। কেউ কেউ অতিভালোবাসায় সীমা ছাড়িয়ে যাবেন, নামের আগে-পরে জুড়ে দেবেন বিশ্ব রাজনীতির নানা বিপ্লবী নেতার তুলনা। আকাশে-বাতাসে ভেসে বেড়াবে তারেক রহমানের খবর।
বড় বড় পোস্টারে ছেয়ে যাবে শহর থেকে পাহাড়ি গ্রাম, হাট-বাজার থেকে মাঠ-ঘাট, পথে-প্রান্তর। মিছিলের নগরীতে বাজবে তার গান। অলিতে-গলিতে, প্রধান সড়কে ও রাজপথে হবে আনন্দ উৎসব।
লাল-সবুজের বাংলাদেশে পাহাড় ডিঙিয়ে, নদী পেরিয়ে মানুষ ছুটবে এক মোহনায় মিলিত হতে। শত বাধা ও ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে মানুষ আসবে—নতুন করে বাঁচার আশায়, প্রাণ খুলে হাসতে।
বলুন তো, সেই গণজোয়ার রুখে দেওয়ার সাধ্য কার?
তিনি যে বাঁধনহারা প্রাণ, তিনি সাম্য-সুন্দর-মুক্তির গান।
তিনি জনতার—তারেক রহমান।























