দশমিনায় অসহায় বারেক প্যাদার ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নিলেন প্রবাসী আউয়াল মৃধা
ফেসবুকে পোস্টে সাড়া দিয়ে বারেক প্যাদার ঘর নির্মাণে প্রবাসী আউয়াল
- প্রকাশের সময় ০৪:৫২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৯৫ Time View
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক অসহায় পরিবারের করুণ চিত্র দেখে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন মালেশিয়া প্রবাসী মো. আউয়াল হোসেন মৃধা। তিনি উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামভল্লব গ্রামের বাসিন্দা অসহায় বারেক প্যাদার বসতঘর নির্মাণের সম্পূর্ণ ব্যয় বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বারেক প্যাদা ওই গ্রামের মৃত আমজেদ আলী প্যাদার ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিলেন।
গতো বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে প্রবাসী আউয়াল হোসেন মৃধা নিজ গ্রামে এসে বারেক প্যাদার বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং নতুন একটি বসতঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
জানা যায়, উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রাজভল্লব গ্রামের ১৪৭ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান গত মাসে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বারেক প্যাদার অসহায় অবস্থার বিষয়টি তুলে ধরেন। পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় দশমিনা উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসানের। তিনি মানবিক সহায়তা হিসেবে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। পরে একই পোস্ট দেখে প্রবাসী মো. আউয়াল হোসেন মৃধা পুরো ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
অসহায় বারেক প্যাদা বলেন,“আউয়াল মৃধা আমাদের গ্রামেরই সন্তান। অনেক বছর ধরে তিনি বিদেশে থাকেন। আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বহু বছর ধরে এই জুপড়িঘরে বসবাস করছি। আমাদের দিকে তেমন কেউ নজর দেয়নি। কয়েকদিন আগে আউয়াল মৃধা তার বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশে এসে আমাদের বাড়িতে আসেন এবং আমাকে থাকার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলেন। আমি আল্লাহর কাছে তার মঙ্গল কামনা করি।”
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম মাস্টার বলেন,
“আউয়াল মৃধা প্রায় ২২ বছর ধরে মালেশিয়ায় অবস্থান করছেন। তিনি এলাকার অসহায় মানুষ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছেন। বারেক ভাই দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছিলেন। তার জন্য নতুন ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা এলাকাবাসী খুবই আনন্দিত।”
প্রবাসী মো.আউয়াল হোসেন মৃধা বলেন,
“আমি এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছি। আল্লাহ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন। মৃত্যুর পর কিছুই সঙ্গে যাবে না,এই চিন্তা থেকেই আখেরাতের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। আমার কারণে যদি একটি পরিবার শান্তিতে থাকতে পারে, সেটাই আমার বড় পাওয়া। আল্লাহ যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন, ততদিন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব।”

























