১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজনৈতিক বন্দিদের ব্যবহারে ‘সংস্কারের ভান’—অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর

মিয়ানমারে নির্বাচন সামনে রেখে ৮,৬৬৫ জনকে ক্ষমা ও সাজা কমাল জান্তা সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০২:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে সেনা শাসনের বিরোধিতা, মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটক বা পলাতক থাকা ব্যক্তিদের সাজা কমানো, ক্ষমা অথবা অভিযোগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার মোট ৮ হাজার ৬৬৫ জনের বিরুদ্ধে ‘নমনীয়তার’ ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৫ জনের কারাদণ্ড কমানো হয়েছে এবং ৫ হাজার ৫৮০ জন পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে এদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি—তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। গণমাধ্যম বলছে, গণক্ষমার আওতাভুক্তদের মুক্তি কবে থেকে শুরু হবে সেটিও পরিষ্কার নয়।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই ক্ষমা ঘোষণাটি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, মুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে। তবে সংখ্যায় কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালে ইনসেইন কারাগারের বাইরে বহু মানুষ জড়ো হয়ে তাঁদের স্বজনদের মুক্তির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে ৮০ বছর বয়সী সাবেক নেত্রী অং সান সু চি এই ক্ষমার আওতায় পড়বেন কি না—তা এখনো নিশ্চিত নয়। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা সু চি ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যেই এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ‘নকল গণতন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফারমানার জানান, সামরিক সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের ব্যবহার করছে নির্বাচনের বৈধতা প্রমাণে এবং সংস্কারের ভান তৈরি করতে।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানায়, এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৭০৮ জন রাজনৈতিক বন্দি মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক বন্দিদের ব্যবহারে ‘সংস্কারের ভান’—অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর

মিয়ানমারে নির্বাচন সামনে রেখে ৮,৬৬৫ জনকে ক্ষমা ও সাজা কমাল জান্তা সরকার

আপডেট সময় ০২:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে সেনা শাসনের বিরোধিতা, মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটক বা পলাতক থাকা ব্যক্তিদের সাজা কমানো, ক্ষমা অথবা অভিযোগ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার মোট ৮ হাজার ৬৬৫ জনের বিরুদ্ধে ‘নমনীয়তার’ ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৮৫ জনের কারাদণ্ড কমানো হয়েছে এবং ৫ হাজার ৫৮০ জন পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

তবে এদের মধ্যে কতজন রাজনৈতিক বন্দি—তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। গণমাধ্যম বলছে, গণক্ষমার আওতাভুক্তদের মুক্তি কবে থেকে শুরু হবে সেটিও পরিষ্কার নয়।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এই ক্ষমা ঘোষণাটি দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ইয়াঙ্গুনের কুখ্যাত ইনসেইন কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, মুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে। তবে সংখ্যায় কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালে ইনসেইন কারাগারের বাইরে বহু মানুষ জড়ো হয়ে তাঁদের স্বজনদের মুক্তির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে ৮০ বছর বয়সী সাবেক নেত্রী অং সান সু চি এই ক্ষমার আওতায় পড়বেন কি না—তা এখনো নিশ্চিত নয়। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকা সু চি ২৭ বছরের সাজা ভোগ করছেন।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যেই এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ‘নকল গণতন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফারমানার জানান, সামরিক সরকার রাজনৈতিক বন্দিদের ব্যবহার করছে নির্বাচনের বৈধতা প্রমাণে এবং সংস্কারের ভান তৈরি করতে।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানায়, এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৭০৮ জন রাজনৈতিক বন্দি মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন।