১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গণতন্ত্র হত্যার দায় দু’জনেরই—আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ

এরশাদ ও শেখ হাসিনার চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই: রিজভী

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ০২:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, “হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চরিত্র ও শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।” বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, “তারা দু’জন বারবার পরস্পরকে নিয়ে কথা বললেও শেষ পর্যন্ত এক জায়গায় গিয়ে একত্রিত হয়েছেন। গণতন্ত্রকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন দু’জনই। ব্যাংক লুটের সূচনা করেছিলেন এরশাদ, আর চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।”

শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আদালতকে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই। নিজের গড়া আদালত ও ট্রাইব্যুনালেই এখন তার বিচার হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আদালতে হস্তক্ষেপের কোনো অবকাশ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের আইনকে নিজের স্বার্থে প্রয়োগ করেছেন শেখ হাসিনা। এখন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গুম-খুন হচ্ছে না। সরকারে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও নেই। কোর্টকে প্রভাবিত করার ঘটনাও ঘটে না, যা শেখ হাসিনা করতেন।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করে, তাদের বিচার হবেই। পাপ কাউকে ছাড়ে না। বিচারহীনতা চিরস্থায়ী নয়।”

নিউজটি শেয়ার করুন

গণতন্ত্র হত্যার দায় দু’জনেরই—আলোচনা সভায় রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ

এরশাদ ও শেখ হাসিনার চরিত্রে কোনো পার্থক্য নেই: রিজভী

আপডেট সময় ০২:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, “হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চরিত্র ও শেখ হাসিনার চরিত্রের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।” বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের ৩৫তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, “তারা দু’জন বারবার পরস্পরকে নিয়ে কথা বললেও শেষ পর্যন্ত এক জায়গায় গিয়ে একত্রিত হয়েছেন। গণতন্ত্রকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছেন দু’জনই। ব্যাংক লুটের সূচনা করেছিলেন এরশাদ, আর চূড়ান্ত রূপ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।”

শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে আদালতকে প্রভাবিত করার কোনো সুযোগ নেই। নিজের গড়া আদালত ও ট্রাইব্যুনালেই এখন তার বিচার হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আদালতে হস্তক্ষেপের কোনো অবকাশ নেই।”

তিনি আরও বলেন, “অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের আইনকে নিজের স্বার্থে প্রয়োগ করেছেন শেখ হাসিনা। এখন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গুম-খুন হচ্ছে না। সরকারে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও নেই। কোর্টকে প্রভাবিত করার ঘটনাও ঘটে না, যা শেখ হাসিনা করতেন।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “যারা নিজের দেশে নিজের সন্তান, ছাত্র, শ্রমিক হত্যা করে, তাদের বিচার হবেই। পাপ কাউকে ছাড়ে না। বিচারহীনতা চিরস্থায়ী নয়।”