১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সৌর বিদ্যুৎ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির গুরুত্বে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক

মোংলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা: “বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল”

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় ১২:৩১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৯৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল। আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি থেকে বেরিয়ে এসে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটানো দরকার।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে “বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভরশীল” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ প্লানেটিয়ার্স ক্লাব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক সুপ্রীতি দেওয়ান ও সহকারী অধ্যাপক মৌসুমী পোদ্দার।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের প্রভাষক চিন্ময় সরকার, মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা, আম্বিয়া খানম।
সঞ্চালক ছিলেন প্রভাষক মোসাল্লি মোঃ ফরিদ উদ্দিন, টাইম কিপার প্রভাষক মু. রফিকুল ইসলাম।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন,
“চাষাবাদের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, যাকে বলা হয় অ্যাগ্রিভোল্টাইকস। বাংলাদেশে ১১ লাখ ৮০ হাজার একর জমিতে শাকসবজি উৎপাদন করা হয়। এর দশভাগও ব্যবহার করলে ২১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

সভাপতি অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন,
“নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং ব্যবহার শেষে নিঃশেষ হয় না। জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর নীতি থেকে বেরিয়ে টেকসই সবুজ জ্বালানির দিকে নজর দিতে হবে।”

বিচারক প্রভাষক মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা বলেন,
“জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”

প্রতিযোগিতায় পক্ষ দলে অংশগ্রহণ করেন: পূজা অধিকারী, রূপরেখা রায়, ইরানী বিশ্বাস।
বিপক্ষ দলে: গ্রেসিটিয়া হালদার, ফারিয়া আক্তার তমা, নুসরাত জাহান দোলা।
চ্যাম্পিয়ন হয় পক্ষ দল, এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন পক্ষ দলের দলনেতা ইরানি বিশ্বাস।
পরিশেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সৌর বিদ্যুৎ ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির গুরুত্বে শিক্ষার্থীদের বিতর্ক

মোংলায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা: “বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল”

আপডেট সময় ১২:৩১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভরশীল। আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি নীতি থেকে বেরিয়ে এসে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর ঘটানো দরকার।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে “বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপরই নির্ভরশীল” শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), মোংলা সরকারি মহিলা কলেজ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ প্লানেটিয়ার্স ক্লাব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক সুপ্রীতি দেওয়ান ও সহকারী অধ্যাপক মৌসুমী পোদ্দার।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন কলেজের প্রভাষক চিন্ময় সরকার, মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা, আম্বিয়া খানম।
সঞ্চালক ছিলেন প্রভাষক মোসাল্লি মোঃ ফরিদ উদ্দিন, টাইম কিপার প্রভাষক মু. রফিকুল ইসলাম।

পশুর রিভার ওয়াটারকিপার পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ বলেন,
“চাষাবাদের সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে, যাকে বলা হয় অ্যাগ্রিভোল্টাইকস। বাংলাদেশে ১১ লাখ ৮০ হাজার একর জমিতে শাকসবজি উৎপাদন করা হয়। এর দশভাগও ব্যবহার করলে ২১ হাজার মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।

সভাপতি অধ্যক্ষ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন,
“নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন শক্তির উৎস যা স্বল্প সময়ে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং ব্যবহার শেষে নিঃশেষ হয় না। জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর নীতি থেকে বেরিয়ে টেকসই সবুজ জ্বালানির দিকে নজর দিতে হবে।”

বিচারক প্রভাষক মু. ইদ্রিস আলী মোল্যা বলেন,
“জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে আমদানি নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”

প্রতিযোগিতায় পক্ষ দলে অংশগ্রহণ করেন: পূজা অধিকারী, রূপরেখা রায়, ইরানী বিশ্বাস।
বিপক্ষ দলে: গ্রেসিটিয়া হালদার, ফারিয়া আক্তার তমা, নুসরাত জাহান দোলা।
চ্যাম্পিয়ন হয় পক্ষ দল, এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন পক্ষ দলের দলনেতা ইরানি বিশ্বাস।
পরিশেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।