১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পাউবোর নিষেধ উপেক্ষা করেই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি গাছ বিক্রির অভিযোগ

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১২:২১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ—কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বাঁধের প্রায় ৫০টির বেশি গাছ স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করে গাছ বিক্রি ও কাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুকুয়া গ্রামের পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের রিভার ও কাইন্টি সাইটের প্রায় ২০০ ফুট জমিতে ২০০০ সালে পাউবো কর্তৃপক্ষ মেহগনি, চাম্বল, শিসুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।

সম্প্রতি ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়। গত তিন দিন ধরে তিনি বাঁধের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়—কাটা গাছ স্তুপ করে রাখা হয়েছে এবং সেগুলো ট্রাকে তোলা হচ্ছে।

গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন,
জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা—এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন,
আমার রেকর্ডীয় জমিতেই গাছ রোপণ করা ছিল। তাই গাছগুলো বিক্রি করেছি। পাউবো’র কোনো গাছ নয়।

তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে তুলে ধরেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন,
বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। বাধা দেওয়া হলেও তারা শোনেননি।

পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন জানান,
পাউবো’র জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন,
বাঁধের গাছ কেটে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাউবোর নিষেধ উপেক্ষা করেই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫০টির বেশি গাছ বিক্রির অভিযোগ

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:২১:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ—কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বাঁধের প্রায় ৫০টির বেশি গাছ স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করে গাছ বিক্রি ও কাটার কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুকুয়া গ্রামের পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের রিভার ও কাইন্টি সাইটের প্রায় ২০০ ফুট জমিতে ২০০০ সালে পাউবো কর্তৃপক্ষ মেহগনি, চাম্বল, শিসুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।

সম্প্রতি ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করা হয়। গত তিন দিন ধরে তিনি বাঁধের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়—কাটা গাছ স্তুপ করে রাখা হয়েছে এবং সেগুলো ট্রাকে তোলা হচ্ছে।

গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন,
জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিনা—এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন,
আমার রেকর্ডীয় জমিতেই গাছ রোপণ করা ছিল। তাই গাছগুলো বিক্রি করেছি। পাউবো’র কোনো গাছ নয়।

তবে বিষয়টি ভিন্নভাবে তুলে ধরেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন,
বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। বাধা দেওয়া হলেও তারা শোনেননি।

পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন জানান,
পাউবো’র জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন,
বাঁধের গাছ কেটে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।