কৃষকদের হাতে ধরা পড়ে জরিমানা
দুর্গাপুরে ২০ বস্তা সার পাচারের সময় ব্যবসায়ী আটক
- আপডেট সময় ০৩:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ১২ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় সার পাচারের সময় ২০ বস্তা ডিএপি সারসহ তাহাজ্জাক হোসেন (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে স্থানীয় কৃষকরা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে মাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা নূর তানজু।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, আটক তাহাজ্জাক মাড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার নাজিম উদ্দীনের ম্যানেজার। প্রতিদিনের মতো ওইদিনও সে ডিলারের গুদাম থেকে সার সংগ্রহ করে বাঘমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারে বেশি দামে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছিল। এ সময় কৃষকরা সারসহ তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মমিন উদ্দীন গেলে তাকেও কৃষকরা ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় কৃষক আ. ছালাম অভিযোগ করেন, “ডিলার নাজিম এলাকার কৃষকদের সার দেয় না। বলে সার নেই। অথচ একই সার পাশের খুচরা দোকানগুলোতে বেশি দামে পাওয়া যায়। এ সার পাচারে তার ম্যানেজার তাহাজ্জাক সরাসরি জড়িত।”
আরেক কৃষক আহাদ বলেন, “সরকারি নির্ধারিত এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। অথচ ডিলার নাজিম আমাকে ১৪শ টাকা চাইলে। সে বলে বাইরে ১৫শ টাকা, আমার কাছে ১৪শ নিলে ১শ টাকা বাঁচবে—এমন কথাও বলে। সে প্রতিনিয়ত কৃষকদের ঠকাচ্ছে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিসিআইসি ডিলার নাজিম উদ্দীন বলেন, “আটক করা সারগুলো আমার নয়। কৃষকরা যা বলছে সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা নূর তানজু বলেন, “সার পাচারের সময় কৃষকরা সারসহ পাচারকারীকে আটক করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”























