দোহার এলাকায় বন্ধুকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নাটক সাজালেন যুবক; শেষমেশ ধরা খেলেন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে
অটোরিকশার জন্য বন্ধুকে হত্যা
- আপডেট সময় ১১:৫৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
অটোরিকশা হাতিয়ে নিতে বন্ধুকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দাবি করেছিলেন এক তরুণ। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। নিহত ইয়াছিনের বয়স ২২ বছর, আর গ্রেপ্তার হওয়া ঘাতক সোহাগের বয়সও ২২।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দোহার উপজেলার নিকড়া বিল এলাকার রাস্তার পাশ থেকে পাওয়া অজ্ঞাত লাশ বলে দাবি করে সোহাগ ওই লাশ দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কীভাবে ঘটল হত্যাকাণ্ড
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোহাগ ও ইয়াছিন রাজধানীর জুরাইনে একসঙ্গে থাকতেন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল তাঁদের। কিছুদিন আগে সোহাগ দোহার উপজেলার খাড়াকান্দা এলাকার একটি গ্যারেজে কাজ শুরু করেন। রোববার সোহাগ জুরাইনে ইয়াছিনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে রাত কাটান।
পরদিন দুপুরে ইয়াছিনের নতুন অটোরিকশা নিয়ে দুজন দোহারের উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যায় নিকড়ার বিলে পৌঁছে সোহাগ প্রথমে ইয়াছিনকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করান। পরে গলা ও মুখে ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন। হত্যার পর অটোরিকশায় তুলে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং অজ্ঞাত লাশ পাওয়ার গল্প বানিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
সন্দেহে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ
দোহার থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সোহাগের বর্ণনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। তাঁর অসংগত বক্তব্যের ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ হত্যার কথা স্বীকার করেন।
লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিহত ইয়াছিনের লাশের সুরতহাল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে দোহার থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
দোহার থানার ওসি হাসান আলী বলেন,
“এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।”























