১১:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অবকাঠামোর অভাবে থমকে গেছে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

দশমিনায় মিনি স্টেডিয়ামের দাবি জোরালো

রবিউল হাসান ডব্লিউ
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫১ বার পড়া হয়েছে

দশমিনা উপজেলায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় নতুন প্রজন্মের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, একসময় পালাগান, যাত্রাপালা, কাব্যপাঠ, লাঠিখেলা ও গ্রামীণ ক্রীড়ার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য থাকলেও অবকাঠামোর অভাবে আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে।

ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ক্রীড়ায় দশমিনা একসময় স্বতন্ত্র পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু মানসম্মত স্টেডিয়াম ও মাঠ সংস্কারের অভাবে মাঠগুলো অযত্নে পড়ে থাকায় ক্রীড়াচাঞ্চল্য কমে গেছে। অনেক মাঠেই রয়েছে গর্ত, ঝোপঝাড় ও পরিত্যক্ত পরিবেশ।

বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদরা জানান, একটি ভালো স্টেডিয়াম থাকলে এখনো নিয়মিত খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। তাদের অভিযোগ—মাঠের অভাবে তরুণ সমাজ খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমাজের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

স্থানীয় শিক্ষক, ক্রীড়াবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রস্তাব—দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই একটি আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা যেতে পারে। কারণ এটি উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং উন্নয়নযোগ্য। প্রয়োজন হলে অন্য সরকারি জমি অধিগ্রহণ করেও স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবি করেন তারা।

দশমিনা লিওন ফুটবল একাডেমির পরিচালক সোহাগ আহমেদ লিওন বলেন, “উপজেলায় একটিমাত্র খেলার মাঠ। বর্ষায় পানি আর শীতে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান হয়। এতে খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটে। দশমিনাবাসীর প্রাণের দাবি—অতি দ্রুত একটি মিনি স্টেডিয়াম।”

উপজেলার বেশিরভাগ স্কুলের মাঠও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায়। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, একটি স্টেডিয়াম হলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন উৎসব আয়োজন আরও সুন্দরভাবে করা সম্ভব হবে।

দশমিনাবাসীর অভিন্ন দাবি—যে স্থানেই হোক, সরকারি উদ্যোগে একটি আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম দ্রুত নির্মাণ করা হোক। তাদের বিশ্বাস, এটি দশমিনার হারানো ক্রীড়া-সংস্কৃতি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবকাঠামোর অভাবে থমকে গেছে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড

দশমিনায় মিনি স্টেডিয়ামের দাবি জোরালো

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

দশমিনা উপজেলায় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় নতুন প্রজন্মের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, একসময় পালাগান, যাত্রাপালা, কাব্যপাঠ, লাঠিখেলা ও গ্রামীণ ক্রীড়ার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য থাকলেও অবকাঠামোর অভাবে আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে।

ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন ক্রীড়ায় দশমিনা একসময় স্বতন্ত্র পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু মানসম্মত স্টেডিয়াম ও মাঠ সংস্কারের অভাবে মাঠগুলো অযত্নে পড়ে থাকায় ক্রীড়াচাঞ্চল্য কমে গেছে। অনেক মাঠেই রয়েছে গর্ত, ঝোপঝাড় ও পরিত্যক্ত পরিবেশ।

বর্তমান ও সাবেক ক্রীড়াবিদরা জানান, একটি ভালো স্টেডিয়াম থাকলে এখনো নিয়মিত খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। তাদের অভিযোগ—মাঠের অভাবে তরুণ সমাজ খেলাধুলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে সমাজের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

স্থানীয় শিক্ষক, ক্রীড়াবিদ ও সংস্কৃতিকর্মীদের প্রস্তাব—দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠেই একটি আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা যেতে পারে। কারণ এটি উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং উন্নয়নযোগ্য। প্রয়োজন হলে অন্য সরকারি জমি অধিগ্রহণ করেও স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবি করেন তারা।

দশমিনা লিওন ফুটবল একাডেমির পরিচালক সোহাগ আহমেদ লিওন বলেন, “উপজেলায় একটিমাত্র খেলার মাঠ। বর্ষায় পানি আর শীতে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠান হয়। এতে খেলাধুলায় বিঘ্ন ঘটে। দশমিনাবাসীর প্রাণের দাবি—অতি দ্রুত একটি মিনি স্টেডিয়াম।”

উপজেলার বেশিরভাগ স্কুলের মাঠও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায়। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, একটি স্টেডিয়াম হলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন উৎসব আয়োজন আরও সুন্দরভাবে করা সম্ভব হবে।

দশমিনাবাসীর অভিন্ন দাবি—যে স্থানেই হোক, সরকারি উদ্যোগে একটি আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম দ্রুত নির্মাণ করা হোক। তাদের বিশ্বাস, এটি দশমিনার হারানো ক্রীড়া-সংস্কৃতি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে।