০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দলের প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম মোল্লার মনোনয়ন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া

বরগুনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক, তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় ০২:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন।

গত ৩ নভেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরগুনা-১ আসনে মো. নজরুল ইসলাম মোল্লাকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দলের বিভাজন বাড়তে থাকে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জন নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে নজরুল ইসলাম মোল্লার মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি করেছেন। অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, বরগুনা জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মো. ফজলুল হক মাস্টার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ওমর আবদুল্লাহ শাহীন এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সম্পাদক আসমা আজিজ।

তারা অভিযোগে বলেন, “নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তার পরিবার বরগুনা জেলা বিএনপিতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের পরিবারের ৮ জন বর্তমানে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।”

ফজলুল হক মাস্টার আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন এমপি। তাই জনগণের ম্যান্ডেট ও তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী পরিবর্তন করা উচিত।”

এদিকে, আসমা আজিজ অভিযোগ করেছেন, “গত ১৬ বছর ধরে দলকে সমর্থন দিয়েছি, তবুও ত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। এটা সময়ের দাবি।”

অভিযোগকারীদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, “২০০১ সালে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম, এরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। তাই তৃণমূলের মতামত ও ভোটের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “দলীয় হাই কমান্ড আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন, তারা একাধিকবার নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। তাই তাদের অভিযোগ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।’’ তিনি আরও বলেন, “তারা চাইলে অন্য দলে চলে যেতে পারেন, কিন্তু দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

এই বিতর্কের মধ্যে, জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দলের প্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম মোল্লার মনোনয়ন নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া

বরগুনা-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক, তৃণমূল নেতাদের ক্ষোভ

আপডেট সময় ০২:০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরগুনা-১ (বরগুনা সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দলের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্তে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পর তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন।

গত ৩ নভেম্বর মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরগুনা-১ আসনে মো. নজরুল ইসলাম মোল্লাকে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এরপর থেকে দলের বিভাজন বাড়তে থাকে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জন নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে নজরুল ইসলাম মোল্লার মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি করেছেন। অভিযোগটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংসদ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, বরগুনা জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক মো. ফজলুল হক মাস্টার, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রেজবুল কবির, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ওমর আবদুল্লাহ শাহীন এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সহ-সম্পাদক আসমা আজিজ।

তারা অভিযোগে বলেন, “নজরুল ইসলাম মোল্লা ও তার পরিবার বরগুনা জেলা বিএনপিতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের পরিবারের ৮ জন বর্তমানে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন, যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।”

ফজলুল হক মাস্টার আরও বলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন এমপি। তাই জনগণের ম্যান্ডেট ও তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রার্থী পরিবর্তন করা উচিত।”

এদিকে, আসমা আজিজ অভিযোগ করেছেন, “গত ১৬ বছর ধরে দলকে সমর্থন দিয়েছি, তবুও ত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। এটা সময়ের দাবি।”

অভিযোগকারীদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, “২০০১ সালে সামান্য ভোটে পরাজিত হয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম, এরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। তাই তৃণমূলের মতামত ও ভোটের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।”

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও মনোনীত প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “দলীয় হাই কমান্ড আমাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। যারা অভিযোগ করছেন, তারা একাধিকবার নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। তাই তাদের অভিযোগ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী।’’ তিনি আরও বলেন, “তারা চাইলে অন্য দলে চলে যেতে পারেন, কিন্তু দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

এই বিতর্কের মধ্যে, জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং তৃণমূল নেতাদের মধ্যে ভবিষ্যত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে।